কক্সবাজারের মহেশখালী-বদরখালী-চৌয়ারফাঁড়ি নৌ চ্যানেলের নদী তীরবর্তী এলাকায় চোরাই কাঠ দিয়ে তৈরি হচ্ছে ফিশিং বোট। যদিও এসব দেখেও না দেখার ভানে রয়েছে মহেশখালী উপকূলীয় বনবিভাগের কর্তারা।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এই দুই স্পটের উপকূলজুড়ে বন নিধনের কয়েকটি সিন্ডিকেট সরকারি বনাঞ্চল থেকে গর্জনসহ বিভিন্ন প্রকার গাছ কেটে এসব অবৈধ ফিশিং বোট তৈরি করছে। স্থানীয় বন বিভাগ ও প্রশাসনের নীরবতায় বন নিধনকারী চক্র বেপরোয়াভাবে অবৈধ ফিশিং ট্রলার তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, মহেশখালী ও চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জে কর্মরত কতিপয় অসৎ কর্মচারীকে ম্যানেজ করে অসাধু কাঠ ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে ফিশিং ট্রলার তৈরির ব্যবসা চালাচ্ছে। এক একটি ফিশিং ট্রলার তৈরি শেষে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। সারা বছরই নদীর উপকূলীয় এসব এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে বনবিভাগের অনুমতি ব্যতীত অবৈধ ফিশিং ট্রলার তৈরির রমরমা বাণিজ্য চললেও তা বন্ধে স্থানীয় বনবিভাগ ও প্রশাসন কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহেশখালী চ্যানেলের মহেশখালী-বদরখালী সেতুর উত্তর পাশে ৮টি, চকরিয়ার চৌঁয়ার ফাঁড়ি বাজার সংলগ্ন পয়েন্টে নদীর তীরবর্তী স্থানে ২০টি বড় বড় ফিশিং নৌকা নির্মাণের কাজ চলছে।
নৌকা নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, বনাঞ্চল থেকে নৌপথে কাঠগুলো আনা হয়েছে। এতে কেউ তাদের বাধা দেয়নি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, নদী-তীরবর্তী স্থানে যেসব নৌকা তৈরি করা হচ্ছে, সব কাঠই বনাঞ্চল থেকে আনা। এতে কাঠ চোরচক্রের সঙ্গে বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশও রয়েছে।
নবাগত চকরিয়া-সুন্দরবন রেঞ্জ কর্মকর্তা রুহুল আমিন পূর্বকোণকে বলেন, ফিশিং নৌকা নির্মাণে বনবিভাগের অনুমতি না থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কাঠ দিয়ে অবৈধভাবে নৌকা তৈরি করা হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা অভিজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, পাহাড়ের গাছ কর্তন করে যারা অবৈধ নৌকা তৈরিতে জড়িত তারা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: